আলমগীর মাহমুদ
রোয়াইঙ্গারা সুখে থাকলে কক্সবাজারবাসী সুখে থাকে। তারা দুখী হলে কক্সবাজারবাসীর ঘুম হারাম।নির্যাতনের জ্বালা সইতে না পেরে চোখে যেদিকে দেখি ওদিকেই চলে যাব এমন ভাবনায় এক কাপড়ে গোয়ালের গরু, গাট্টি,পুটলাকে শেষ সম্বল করে সে পাড়ি জমায়।কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, কি হবে, সবই অনিশ্চিত। বেঁচে থাকা, আশ্রয়ই হয়ে উঠে এক আরাধ্য।আকুতি রয় ‘আমারে বাঁচতে দিন’
১৭৯৯ থেকে আজ পর্যন্ত কক্সবাজারবাসী দয়ার হাতই আগিয়েছে।দেখিয়েছে দরদের সর্বোচ্চ অবস্থান। জীবনে বেশ ক’বার দেখিছি তাদের নির্যাতিত হয়ে আসার চিত্র।প্রতিবারের আসা আর এবারের মধ্যে বিস্তার ফারাক।বৈপরীত্য আকাশসম। মতলব বুঝতে না পারলে রোগ সারার দাওয়াই সিলেক্ট করা কঠিন।
মায়ানমারে জাতিসংঘের একজন মহিলা কর্মকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনিই রাখাইনে রোয়াইঙ্গা নির্যাতনে ইন্ধনদাতা পরে তাকে মায়ানমার থেকে ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল কতৃপক্ষ।
রোয়াইঙ্গারা আগে যতবারই এসেছে কোনবারইতো এমন সংগঠিত হয়ে একজায়গায় বসারও চিন্তা করতে দেখিনি।এবার বলা কয়া ছাড়া তারা দলবেধে মহিবুল্লাহকে পাঠিয়েছে ট্রাম্পের কাছে। যাবার সুইস কৌশল বিদেশী নকশাকারদের হলেও বুদ্ধির বাস্তবায়ন করেছে এদেশের খন্দকার মোশতাক,মীর জাফরেরা,সুবিধার বিনিময়ে।
মহিবুল্লাহ ১৪ জন দিয়ে শুরু পাঁচ লাখের জমায়েত হবার পর সবাইর টনক নড়ে।এটি ছিল দ্বিতীয় জমায়েত। গেলবছর তারা প্রথম ২৫ আগষ্ঠে শো-ডাউন করে। সাংনাদিকেরা পৃথিবীবাসীর কাছে তুলে ধরে শংকার কথা।জনমনে সৃষ্টি হয় ভাবনা।এমন পরিস্থিতি কোন বারই সৃষ্টি হয়নি।
আমার বেড়ে উঠা উখিয়া। পাহাড়ি অঞ্চলে ছোট বয়স থেকে শুনতাম।বার্মা স্বাধিকার আন্দোলনে ফুরিক্যা” /আর, এস, ও/আরো কত দল। এই পাহাড় গুলো বার্মা বাংলাদেশ সীমান্তে।কোনদিন শুনিনি।
তারা বার্মায় বিদ্রোহী সুলভ কোন আচরন উপহার দিতে।ববং তারা অন্তকোন্দলে একজন আরেকজনকে শেষ করেছে।ডাঃইউনুস রোয়াইঙ্গা নেতা তাদের অন্তকোন্দল পৃথিবী জানে।পরবতী যারা নেতা হয় তারা মিডল ইষ্ঠের শেখদের হেরেমেই ্হারায়।একজন দুজন নয় অনেকে।আবদুর রশীদ পরবর্তীতে কওতীর মত নেতাহীনতায় তারা দিক হারা।
হঠাৎ রিফুইজি ক্যাম্পে নেতা হওয়া।এটা কখনও তাদের ইতিহাস কৃষ্ঠিতে নেই। এরূপ একসিডেন্টাল আর্বিভাব আগে (পূর্বে আসা)ক্যাম্প গুলোতে ঘটতে দেখিনি।আজ যে মহিবুল্লাহ সে বিদেশী নকশাকারদের সৃষ্টি,রোয়াইঙ্গা নেতা নয়। বাংলার শেষ সম্রাট বাহদুর শাহ জাফর।আমাদের কিছু খায়েশ ধারী,রাজকর্ম পালনে নিয়োজিতদের।
মায়ানমার থেকে আজ পর্যন্ত শ্যেন দৃষ্টি রাখলে রোয়াইঙ্গাদের ঘরছাড়া আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের হেরেমের গোপন প্লেনেরই প্রথম অংশ। নীলনকশা লক্ষ্যে পৌঁছাতে মহিবুল্লাহ তাদের প্লেনেরই একটি অধ্যায়।
রোয়াইঙ্গাদের বসত গেল তেল, গ্যাসের কারণে । আমাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ই মোড়লদের আকাঙ্ক্ষার ধন। সেন্টমার্টিনের ভৌগোলিক অবস্থান পুরো এশিয়া নখদর্পনে রাখার উত্তম স্থান।আণবিক সরঞ্জাম তৈরির বালির মজুত আছে সেন্টমার্টিনে।
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর না হলে শান্তিরক্ষী বাহিনী আসে কেমনে!
(চলবে)
লেখক :-বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। উখিয়া কলেজ। কক্সবাজার।
[email protected]
পাঠকের মতামত